স্বদেশ ডেস্ক:
স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী কর কর্মকর্তা মো. হাসান ইমামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এইচ এম ইমরানুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি হাসান ইমামের স্ত্রী মোসা. শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে ঝালকাঠি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে এই মামলা করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাসান ইমামকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে হাসান ও শারমিনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই দম্পতির সালমান নামে পাঁচ বছরের এক ছেলে আছে। ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারীর পদে চাকরি পেতেও শারমিনের বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা নেন হাসান। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। এরই মধ্যে শারমিনকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন হাসান। গত ১১ অক্টোবর হাসানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে যৌতুক না নিয়ে তাঁকে গ্রহণের অনুরোধ জানালে তিনি শারমিনকে সন্তানসহ ফিরিয়ে দেন এবং গালাগাল করেন।